ঘূর্নবাত ও প্রতীপ ঘূর্নবাত এর মধ্যে পার্থক্য


পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা গুলির মধ্যে অন্যতম হল ঘূর্নবাত ও প্রতীপ ঘূর্নবাত  ঘূর্নবাত ও প্রতীপ ঘূর্নবাত একে অপরের বিপরীত অবস্থাকে সূচিত করে দুটি অবস্থার কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি কে অপরটি থেকে পৃথক করে ঘূর্নবাত ও প্রতীপ ঘূর্নবাতের মধ্যে পার্থক্য গুলি বিস্তারিত ভাবে নিচে আলোচনা করা হল –

সংজ্ঞা
👉নিম্নচাপ বিশিষ্ট ঝরকে ঘূর্নবাত বা সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে
👉উচ্চচাপ বিশিষ্ট অঞ্চল থেকে বর্হিমুখী বায়ু প্রবাহকে প্রতীপ ঘূর্নবাত বলে

বায়ুপ্রবাহ 
👉চারদিক থেকে বায়ু ঘূর্নবাত কেন্দ্রের দিকে ধেয়ে আসে অর্থাৎ বায়ু প্রবাহ কেন্দ্রমুখী হয় 
👉প্রতীপ ঘূর্নবাতে বায়ু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে যায় অর্থাৎ বায়ু প্রবাহ বর্হিমুখী

বায়ুর প্রকৃতি
👉 ঘূর্নবাতের কেন্দ্রের বায়ু উষ্ণ ও ঊর্ধবগামী হয়
👉প্রতীপ ঘূর্নবাতের কেন্দ্রে বায়ু ঠাণ্ডা ও নিম্নগামী হয়

. চাপের উপস্থিতি
👉 ঘূর্নবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়
👉 প্রতীপ ঘূর্নবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়

মেঘ ও ঝড়বৃষ্টি
👉ঘূর্নবাতের সময় আকাশ মেঘলা থাকে ও প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয় 
👉প্রতীপ ঘূর্নবাতের ক্ষেত্রে আকাশ নির্মল মেঘমুক্ত থাকে ঝড়বৃষ্টি হয় না

. স্থায়িত্ব
👉 ঘূর্নবাত ক্ষণস্থায়ী হয়  
👉 প্রতীপ ঘূর্নবাত দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়

. ধ্বংসাত্মক শক্তি
👉ঘূর্নবাত খুব শক্তিশালী হয়এর ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় 
👉প্রতীপ ঘূর্নবাতের শক্তি কম হয় বলেক্ষয়ক্ষতি হয় না

গতিবেগ
👉ঘূর্নবাত তীব্র গতিবেগ সম্পন্ন হয়কখনো কখনো গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০০-৩৫০ কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে
👉 প্রতীপ ঘূর্নবাতে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ তীব্র হয় না

৯. উৎপত্তি স্থল 
👉 ঘূর্নবাত প্রধানত ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলের উষ্ণ সমুদ্রে সৃষ্ট হয়।
👉 প্রতীপ ঘূর্নবাত সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ ও হিমমণ্ডলের শীতল স্থলভাগে সৃষ্টি হয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.