ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ুর মধ্যে পার্থক্য

পার্বত্য অঞ্চলে দিন ও রাতের উষ্ণতার তারতম্যের ফলে উৎপন্ন পার্বত্য ঢাল বরাবর প্রবাহিত বায়ু হল - ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ু। পার্বত্য অঞ্চলে প্রবাহিত হলেও এই ক্যাটাবেটিক ও অ্যানাবেটিক বায়ুর মধ্যে বৈশিষ্ট্য গত কিছু পার্থক্য দেখা যায়। সেই পার্থক্য গুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

1. সংজ্ঞা
👉 রাতের বেলা পর্বতের উচ্চ অংশের বায়ু তাপ বিকিরণ করে শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের ঢাল বরাবর নিচে নামতে থাকলে তাকে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে। 
👉 দিনের বেলা পর্বতের নিম্ন উপত্যকার বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হলে তাকে অ্যানাবেটিক বায়ু বলে।

2. অপর নাম
👉 পর্বতের ঊর্ধ্বাংশ থেকে প্রবাহিত হওয়ায় ক্যাটাবেটিক বায়ু পার্বত্য বায়ু (Mountain breeze) নামেও পরিচিত।
👉 অ্যানাবেটিক বায়ু পার্বত্য উপত্যকা থেকে প্রবাহিত হওয়ায় একে উপত্যকা বায়ুও (Valley breeze) বলে।

3. স্থানীয় আবহাওয়ার উপর প্রভাব
👉 ক্যাটাবেটিক বায়ুর প্রবাহে উপত্যকা অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। 
👉 অ্যানাবেটিক বায়ুর প্রভাবে পাহাড়ি উপত্যকায় বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়।

4. বায়ুর বৈশিষ্ট্য 
👉 ক্যাটাবেটিক বায়ু  শীতল, শুষ্ক ও ভারী হয়। 
👉 অ্যানাবেটিক বায়ু উষ্ণ, আদ্র ও হালকা হয়।

5. প্রবাহ সময়
👉 ক্যাটাবেটিক বায়ু শীতকালে মূলত রাত্রি ও ভোর বেলা প্রবাহিত হয়।
👉 অ্যানাবেটিক বায়ু গ্রীষ্মকালে মূলত দিনের বেলা প্রবাহিত হয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.