বাহ্যিক ও ক্রিয়ামূলক অঞ্চলের পার্থক্য
1) সংজ্ঞাগত পার্থক্য
👉 প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে যে অঞ্চল গুলি চিহ্নিত করা হয়, তাদের বাহ্যিক অঞ্চল বলে।
👉
অর্থনৈতিক কার্যাবলীর উপর নির্ভর করে গঠিত অঞ্চল গুলিকে ক্রিয়ামূলক অঞ্চল বলা হয়।
2) উদাহরণ
👉 বাহ্যিক অঞ্চল - সুন্দরবন অঞ্চল, গাঙ্গেয় সমভূমি, ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চল প্রভৃতি।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চল - হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, National capital region (NCR)।
3) কেন্দ্র বিন্দু বা Nodal point
👉 বাহ্যিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কোন রূপ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের উপস্থিতি থাকে না।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কেন্দ্র বিন্দু বা Nodal point এর উপস্থিতি দেখা যায়। যা ক্রিয়ামূলক অঞ্চলের ভিত্তি স্থাপন করে।
4) সীমানা
👉 বাহ্যিক অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট সীমান্তরেখা বর্তমান।
👉 ক্রিয়া মূলক অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোন সীমানা থাকে না।
5) ধর্ম
👉 বাহ্যিক অঞ্চল গুলি সমধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চলের মূল বৈশিষ্ট্য হলো বিষমধর্মীতা।
6) অর্থনৈতিক অবস্থা
👉 বাহ্যিক অঞ্চল গুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে অনুন্নত হয়।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চল গুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক উন্নত।
7) Overlap
👉 বাহ্যিক অঞ্চল গুলি পরস্পরের সংলগ্ন হতে পারে কিন্তু কখনোই একটি অঞ্চল অপর অঞ্চল কে Overlap করে না।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চল গুলো অনেক সময় একটি অপরটিকে Overlap করে থাকে।
8) আঞ্চলিক বৈচিত্র্য
👉 বাহ্যিক অঞ্চল গুলির দ্বারা আঞ্চলিক বৈচিত্র্য প্রতিফলিত করা সম্ভব হয় না।
👉 ক্রিয়ামূলক অঞ্চল গুলি আঞ্চলিক বৈচিত্র্য প্রতিফলিত করে।
কোন মন্তব্য নেই: