ভূমিকম্পের ছায়া বলয় বলতে কি বোঝায়

বড়ো মাপের সংঘটিত ভূমিকম্পের তরঙ্গ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ভূমিকম্প কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের সংযোগকারী সরলরেখার সাপেক্ষে কেন্দ্রে উৎপন্ন 105⁰ কৌণিক দূরত্বের বাইরে ভূমিকম্পের 'S' তরঙ্গ এবং 105⁰-143⁰ এর মধ্যে ভূমিকম্পের 'P' তরঙ্গ সিসমোগ্রাফে ধরা পড়ে না। ভূমিকম্প কেন্দ্রের বিপরীত দিকে অবস্থিত এই প্রকার তরঙ্গহীন অঞ্চলকে ভূমিকম্পের ছায়া বলয় বলে।

বৈশিষ্ট্য -
i) ছায়া বলয়ের মধ্যে দিয়ে 'P' ও 'S' তরঙ্গ যেতে না পারা থেকে বোঝা যায় ভূ অভ্যন্তরে তরল পদার্থের ঘনত্বের পার্থক্য বিদ্যমান। ফলে 'P' তরঙ্গের প্রতিসরণ ঘটে এবং 'S' তরঙ্গ প্রবেশ করতে পারে না। এই ভাবে ছায়া অঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
ii) P ও S তরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট ছায়া বলয়ের পরিমাণ 26.5% ও 37% । 

প্রবক্তা - 1912 সালে প্রফেসর বেনো গুটেনবার্গ ছায়া অঞ্চল আবিষ্কার করেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.