ওজোন স্তর বিনাশের কারণ
বায়ুমন্ডলে ওজোন স্তরের ঘনত্ব সর্বত্র সমান নয়। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে এই গ্যাসের
উপস্থিতি অতি নগন্য। স্ট্যাটোস্ফিয়ারে ১৫-৩০ কিমি এর মধ্যে ওজোন স্তরের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। বায়ুমন্ডলে এই ওজোন গ্যাসের আবরণকে, ওজোন স্তর বলে। বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের ঘনত্বকে
ডবসন এককে প্রকাশ করা হয়। ১৮৪০ সালে স্কোনবি ওজোন গ্যাস আবিষ্কার করেন। এরপর ১৯১৩ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী
হেনরি বুশন ও চালস ফেব্রি বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। ওজোন স্তর বিনাশের কারণ গুলি নিচে আলোচনা করা হল – বায়ুমণ্ডলের ওজোন
স্তরের বিনাশের কারণ গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
১) প্রাকৃতিক কারণ - স্ট্যাটোস্ফিয়ারের প্রাকৃতিক উপায়ে
যেমন ওজোন গ্যাস উৎপন্ন হয়, তেমনি এই স্তরে আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ার
ফলে ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটে। ওজোন গ্যাসের গঠন ও বিনাস ওই স্তরের ভারসাম্য রক্ষায়
সমর্থ হয়। সূর্যের অতিবেগুলি রশ্মির উপস্থিতিতে একটি ওজোন কনার সাথে একটি অক্সিজেন পরমানুর
আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ওজোন ধ্বংস হয়। এই বিক্রিয়ায় ওজোন কনাটি অক্সিজেন অনুতে পরিনত হয়।
O3 + UV = O2 + O
O3 + O = 2O2
২)
অপ্রাকৃতিক কারণ – মানুষের নানাবিধ কাজকর্মের ফলে বিভিন্ন গ্যাস উৎপন্ন হয়
যে গুলি ওজোন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে এই স্তরের বিনাশ ঘটায়। যেমন –
ক. স্ট্যাটোস্ফিয়ারের সুপারসনিক
বিমান থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহ ওজোন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া
করে ওজোন স্তর কে বিনাশ করে দেয়। যেমন - O3
+ NO = NO2 + O2
খ. শিল্পাঞ্চলে কারখানার চিমনি
থেকে নির্গত ভাসমান সালফেট এরোসল ওজোন অনুকে বিয়োজিত করে অক্সিজেন অনু ও পরমানুতে রূপান্তর
ঘটায়। ফলে ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
যেমন - O3
= O2 + O
গ. CFC ও ক্লোরোফ্লুরোমিথেন
প্রধান ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাস। একটি CFC কনা এক লক্ষেরও বেশি ওজোন কনাকে ধ্বংস করতে পারে। রেফ্রিজারেটার, এয়ার কন্ডিশনার, স্প্রেক্যান, বিমানের প্রপেলার, ফোম ও প্লাস্টিক তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই জাতীয় গ্যাস ধীরে ধীরে স্ট্যাটোস্ফিয়ারে
পৌঁছায়। এখানে অতিবেগুনি রশ্মির জন্য প্রথমে CFC ক্লোরিন পরমানুতে পরিণত হয় এবং ওই ক্লোরিন ওজোন কনার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ওজোন স্তর
কে বিনাশ করে দেয়।
O3 + Cl = Clo + O2
Sir this web design is good but I can help you to create a prefect design for this site.
উত্তরমুছুন