জল দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপায়
নগরায়ন, শিল্পায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এবং জলের লাগামহীন অপচয়ে দূষণ মুক্ত জলের ভাণ্ডার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। জলদূষন নিয়ন্ত্রনের জন্য নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা উচিত।
১. আইন প্রনয়ন ও বলবৎ - জল দূষণ নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধের জন্য ১৯৭৪ ও ১৯৮৮ সালের সেস আইন ১৯৭৭ ও ১৯৯১ সালে প্রয়োগ করে দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে জলদূষন নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হয়।
২. প্রযুক্তির ব্যবহার - প্রযুক্তিগত উপায়ে জল পরিশোধন ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট বসিয়ে কলকারখানা, হাসপাতাল, পৌরসংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দূষিত জল ও আবর্জনা কে জীবাণু মুক্ত ও পরিশোধন করে নদী ও সমুদ্রে নিষ্কাশিত করতে হবে।
৩. কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস - কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক ওষুধের ব্যবহার কমালে কৃষি জমি থেকে ধুয়ে আসা জল দূষক পদার্থের পরিমান কমবে এবং জলদূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে।
৪. উষ্ণ জল শীতলীকরন - তাপ ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং লৌহ ইস্পাত ইত্যাদি শিল্পকেন্দ্র গুলির প্রচণ্ড গরম জলকে ঠাণ্ডা করে নদী বা সমুদ্রে ফেললে জলের ভৌত ধর্ম বজায় থাকে।
৫. খনিজ তেল পরিবহনে সর্তকতা অবলম্বন - সমুদ্রের অগভীর অংশ থেকে খনিজ তেল উত্তোলন ও জাহাজে করে পরিবহনের সময় যাতে তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৬. জলের অপব্যবহার রোধ - জলাশয় বা নদনদীতে কাপড় কাঁচা, গবাদি পশুর স্নান ইত্যাদি বন্ধ করলে জল দূষণ হ্রাস করা সম্ভব।
৭. জনসচেতনতা বৃদ্ধি - জল একটি মহার্ঘ বস্তু। তাই জলের দূষণে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কুপ্রভাব অবসম্ভাবী। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পানীয় জলের তীব্র সংকট ঘটবে। এবিষয়ে মানুষ কে সচেতন করে তুলতে পারলে জলদূষন বহুলাংশে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।
জলের লি আছে পতী রোগ নির্ণয় উপা
উত্তরমুছুন