ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়

ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় - পৃথিবী কি গোল, এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর রূপে এখানে আলোচনা করা হল। 

1) পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ কত ?
উত্তর - 6400 কিমি

2) জিয়ড কি?
উত্তর - পৃথিবী উপর ও নিচে কিছুটা চাপা ও মধ্য ভাগ স্ফীত হওয়ায় অনেক সময় আমরা পৃথিবীকে কমলালেবু বা ন্যাস্পতির আকৃতির সাথে তুলনা করে থাকি। কিন্তু এগুলির সাথে পৃথিবীর আকৃতির কিছুটা মিল থাকলেও আসল পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতোই, যাকে ইংরেজিতে জিয়ড বলে।

3) পৃথিবীর পরিধি কত?
উত্তর - প্রায় 40,000 কিমি।

4) পৃথিবীর মেরুব্যাসের পরিমাণ কত?
উত্তর - 12714 কিমি

5) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের পরিমাণ কত ?
উত্তর - 12756 কিমি।

6) মেরু ব্যাস ও নিরক্ষীয় ব্যাসের পার্থক্য কত?
উত্তর - 42 কিমি বেশি 

7) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কি? 
উত্তর - মাউন্ট এভারেস্ট, উচ্চতা প্রায় 8848 মিটার

8) পৃথিবীর গভীরতম স্থানের নাম কি?
উত্তর - প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত। গভীরতা প্রায়  10915 মিটার।

9) গোলাকার পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে আমরা পড়ে যায় না কেন?
উত্তর - পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আমাদের তার কেন্দ্রের দিকে টেনে রেখেছে বলে, আমরা পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে পড়ে যায় না।

10) পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ কোথায় সবচেয়ে বেশি এবং কোথায় সবচেয়ে কম হয়?
উত্তর - পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে সবচেয়ে কম হয়। এই জন্য কোন বস্তুর ওজন নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে বেশি হয়।

11) নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ বেশি কেন? 
উত্তর - নিরক্ষীয় অঞ্চল মেরু অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা স্ফীত হওয়ায়, নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের পরিমাণ কম ও মেরু অঞ্চলে বেশি সময়।

12) ম্যাগিলান কোন দেশের নাবিক ছিলেন?
উত্তর - পর্তুগিজ দেশের

13) ম্যাগিলান কিভাবে প্রমাণ করেন যে পৃথিবী গোল?
উত্তর - পর্তুগিজ নাবিক ম্যাগেলান 1519 সালে পাঁচটি জাহাজ নিয়ে ক্রমশ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এভাবে একই দিকে যেতে যেতে তিনি একসময় আবার সেই একই বন্দরেই ফিরে আসেন, যেখান থেকে তিনি তার যাত্রা শুরু করেন। এই ভাবেই প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোল।

14) কিভাবে প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোল? 
উত্তর - ক) খোলা মাঠ বা ফাঁকা কোন স্থান থেকে সামনের দিকে তাকালে এমন একটা জায়গা আমাদের চোখে পড়ে, যেখানে মনে হয় আকাশ ও মাঠ মিলিত হচ্ছে, যাকে আমরা দিগন্ত রেখা বলে থাকি। পৃথিবী গোলাকার না হলে এই রকম দিগন্ত রেখার সৃষ্টি হত না।
খ) চন্দ্র গ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর যে গোলাকার ছায়া পড়তে দেখা যায়, তার থেকেও প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোল। কারণ যে বস্তুর আকার যে রকম হয় তার ছায়াও সেই রকম হয়ে থাকে।
গ) পৃথিবীর সব জায়গায় একই সাথে সূর্যের আলো পড়ে না, যা প্রমাণিত করে যে পৃথিবী গোল। কারণ পৃথিবী চ্যাপ্টা বা সমতল হলে সব জায়গায় একই সাথে সূর্যের আলো পড়তো।
ঘ) আবার বর্তমানে আধুনিক উপগ্রহ থেকে তোলা ছবির মাধ্যমে সহজেই প্রমাণিত হয় পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার।

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.