পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণ


পৃথিবীতে আলো ও তাপ এর উৎস হল সূর্য । ভূপৃষ্ঠে সারাবছর সূর্যরশ্মি সমানভাবে পড়ে না। লম্বভাবে পতিত সূর্য রশ্মি ও তীর্যকভাবে পতিত সূর্য রশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে সারা বছর ধরে উষ্ণতা হ্রাস বৃদ্ধি দেখা যায়। উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে বছরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রত্যেকটি ভাগ কে ঋতু বলে। ঋতুর পর্যায় ক্রমিক পরিবর্তন কে ঋতু পরিবর্তন বলে। এই ঋতু পরিবর্তনের কারণ গুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল। 

ঋতু পরিবর্তনের কারণ: বিভিন্ন কারণে উষ্ণতার তারতম্যের ফলে ভূপৃষ্ঠে ঋতু পরিবর্তন হয়। এই কারণ গুলি হল - 

I) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি : পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠে কোথাও লম্বভাবে পরে, কোথাও বা তীর্যকভাবে পরে। তির্যক ও লম্বভাবে পতিত সূর্য রশ্মির মধ্যে উত্তাপ এর তারতম্য থাকায় কোথাও শীত  কোথাও গ্রীষ্ম ঋতু দেখা যায়।

II) পৃথিবীর আবর্তন গতি : পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য দিনরাত্রি সংঘটিত হয় এর ফলে উষ্ণতার তারতম্য ঘটে ও ঋতু পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকলে অর্ধেক পৃথিবীতে চির গ্রীষ্ম ও অর্ধেক পৃথিবীতে চির শীত বিরাজ করতো।

III) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি: পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপ বৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে, যা পরিক্রমণ গতি নামে পরিচিত। এই পরিক্রমন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্য রশ্মি প্রাপ্তির তারতম্য দেখা যায়। যার দরুন ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হয়।

IV) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ : পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে জন্য সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সারা বছর সমান থাকে না। এর ফলে উষ্ণতার পার্থক্য সৃষ্টি হয়। 

V) পৃথিবীর মেরু রেখার একই দিকে অবস্থান: পৃথিবীর কক্ষতলের ওপর তার মেরু রেখার সাড়ে 66 ডিগ্রী কোণে সর্বদা একই দিকে অবস্থানের ফলে দিন ও রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে শীত ও গ্রীষ্মের তারতম্য দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.