বার্খান ও অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য


মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে যে স্তূপাকার ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তাকে বালিয়াড়ি বলে। এই বালিয়াড়ি গুলিকে তাদের আকৃতি, সৃষ্টির পদ্ধতি, ঢালের পার্থক্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভূমিরূপ বিদ বিভিন্ন ভাগে শ্রেণীবিভাগ করেন। বালিয়াড়ি গুলির মধ্যে অন্যতম হলো বার্খান ও অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি। এখানে বার্খান ও অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

বার্খান ও অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে যে সব পার্থক্য গুলি দেখা যায়, তা হল -

1) সংজ্ঞা গত পার্থক্য 
👉 বায়ুর গতিপথে আড়াআড়ি ভাবে গঠিত অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়ি কে বার্খান বলে।
👉 বায়ুর গতিপথে সমান্তরালে যেসব লম্বা ও সরু বাৎসরিক গঠিত হয় তাদের অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলে।

2) গঠনগত পার্থক্য
👉 বার্খান এর দৈর্ঘ্য সাধারণত 15 থেকে 30 মিটার এর মতো হয় এবং প্রস্থ 40-150 মিটার। 
👉 অপরদিকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি 150 মিটার দৈর্ঘ্য ও 1km প্রস্থ বিশিষ্ট হয় ।

3) বায়ু প্রবাহের দিক
👉 বার্খান আড়াআড়ি ভাবে একই দিক থেকে বায়ু প্রবাহের ফলে গঠিত হয়।
👉 সিফ বা অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি সমান্তরাল বায়ু প্রবাহের ফলে গঠিত হয়। 

4) প্রতিবাত ও অনুবাত ঢাল
👉 বার্খান এর প্রতিবাত ঢাল মন্থর ও সুষম এবং অনুবাত ঢাল খাড়া ও স্খলিত হয়।
👉 অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির ক্ষেত্রে প্রতিবাত ও অনুবাত ঢাল সমান ও অধিক খাড়া হয়। 

5) ঘূর্ণির প্রকৃতি
👉 বার্খান অনুবাত ঢালে দুর্বল প্রকৃতির ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়।
👉 অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির অনুবাত ও প্রতিবাত উভয় ঢালে শক্তিশালী ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়। 

6) আকৃতি গত পার্থক্য
👉 বার্খান এর আকৃতি অর্ধচন্দ্রাকৃতি।
👉 অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি গুলি সোজা তরবারির মতো হয়ে থাকে।


কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.