আয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর পার্থক্য
1. সংজ্ঞা
👉 কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সারাবছর ধরে প্রবাহিত বায়ু আয়ন বায়ু বলে।
👉 কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সারা বছর ধরে সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তের নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিত ভাবে প্রবাহিত বায়ু কে পশ্চিমা বায়ু বলে।
2. অক্ষাংশ গত অবস্থান
👉 0⁰ থেকে 30⁰ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে আয়ন বায়ুর প্রবাহ দেখা যায়।
👉 30⁰ থেকে 60⁰ অক্ষাংশ এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয়।
3. প্রবাহ দিক
👉 ফেরেলের সূত্র অনুসারে আয়ন বায়ু কিছুটা বেকে উত্তর গোলার্ধে উত্তর পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
👉 উত্তর গোলার্ধে পশ্চিমা বায়ু দক্ষিণ পশ্চিম দিক দিয়ে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
4. অপর নাম
👉 অতীত কালে পাল তোলা বাণিজ্যিক জাহাজ গুলি আয়ন বায়ুর গতিপথ অনুসরণ করে চলাচল করতো বলে, এই বায়ুর আরেক নাম বাণিজ্য বায়ু বা Trade wind ।
👉 পশ্চিমা বায়ু আয়ন বায়ুর বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয় বলে, একে অনেকে প্রত্যয়ন বায়ু বলে। এছাড়া এই বায়ু গর্জন শীল চল্লিশা, ভয়ংকর পঞ্চাশ, ঝড়ো ষাট নামে পরিচিত।
5. প্রভাব
👉 অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আয়ন বায়ু, সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহের সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প ধরো মহাদেশ গুলির পূর্ব অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় কিন্তু বৃষ্টিপাতের অভাবে ক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাদেশ গুলির পশ্চিম অংশে মরুভূমির সৃষ্টি হয়।
👉 পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মহাদেশ গুলির পশ্চিম অংশে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
6. প্রভাবিত কোশ
👉 আয়ন বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত কোশ কে হ্যাডলি কোশ বলে।
👉 পশ্চিমা বায়ুর দ্বারা ফেরেল কোশের সৃষ্টি হয়।
কোন মন্তব্য নেই: