ভাঙ্গর ও খাদার সমভূমির মধ্যে পার্থক্য


হিমালয়ের বরফ গলা জলে সৃষ্ট গঙ্গা ও তার বিভিন্ন শাখা ও উপনদীর হাজার হাজার বছর ধরে পলি সঞ্চয়ের ফলে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে উপদ্বীপীয় মালভূমির উত্তর অংশ বিস্তৃত ভারতের বৃহত্তম গাঙ্গেয় সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে। এই গাঙ্গেয় সমভূমি কে প্রাচীনতা ও উর্বরতার ওপর নির্ভর করে 2টি অংশে ভাগ করা হয়, যথা - ভাঙ্গর ও খাদার সমভূমি। এখানে ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

সংজ্ঞা
👉 গাঙ্গেয় সমভূমি র প্রাচীন পলিরাশি দ্বারা গঠিত অঞ্চল কে ভাঙ্গর।
👉 নতুন পলি রাশি সঞ্চিত হয়ে গঠিত সমভূমি গুলি খাদার নামে পরিচিত।

উর্বরতা 
👉 ভাঙ্গর সমভূমি অঞ্চলের উর্বরতা অপেক্ষাকৃত ভাবে কম হয়।
👉 নবীন পলি রাশি দ্বারা গঠিত খাদার অঞ্চলের উর্বরতা অনেক বেশি হয়।

উচ্চতা
👉 ভাঙ্গর অঞ্চল গুলি অপেক্ষাকৃত উচ্চ ভূমি।
👉 খাদার অঞ্চল গুলি মূলত নিম্ন ভূমি।

বন্যা 
👉 উচ্চতা তুলনামূলক ভাবে বেশি হওয়ায় ভাঙ্গর সমভূমি অঞ্চলের বন্যার প্রবণতা কম।
👉 খাদার অঞ্চল গুলি প্রতি বছর প্লাবিত হয় বলে নতুন নতুন পলির স্তর সৃষ্টি হয়।

গ্রথন বা বুনন
👉 ভাঙ্গর সমভূমি মূলত স্থূল আকৃতির নুড়ি, পাথর ও বালি দ্বারা গঠিত।
👉 খাদার সমভূমি অঞ্চল গুলি সূক্ষ্ম পলি ও কাদা কনার সমন্বয়ে গঠিত।

বিস্তৃতি 
👉 গাঙ্গেয় সমভূমি র বেশির ভাগ অংশ মূলত ভাঙ্গর পলি মাটি দ্বারা গঠিত।
👉 নদী তীরবর্তী প্লাবন সমভূমির সামান্য পরিমাণ অংশ খাদার পলি মাটি দ্বারা গঠিত।

মাটির বর্ণ বা রঙ
👉 ভাঙ্গর অঞ্চলের মাটির রঙ গাঢ় হয়।
👉 ক্রমাগত গঠিত হতে থাকায় খাদার অঞ্চলের মাটি হালকা রঙের হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.