আঞ্চলিক মৃত্তিকা ও অনাঞ্চলিক মৃত্তিকার মধ্যে পার্থক্য
কোনো নিদিষ্ট অঞ্চলের জলবায়ু ও স্বাভাবিক
উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে যে মাটি গঠিত হয়, তাকে আঞ্চলিক মৃত্তিকা বলে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়
প্রাপ্ত শিলা চূর্ন বৃষ্টি, জলপ্রবাহ, হিমবাহ, ও বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বাহিত হয়ে অন্য
কোনো নিচু অঞ্চলে গঠিত জমা হয়ে, যে মৃত্তিকা গঠিত হয়, সেই মাটি কে অআঞ্চলিক মৃত্তিকা
বলে।
১. বিষয় – নিয়ন্ত্রক
- আঞ্চলিক মৃত্তিকা গঠনে জলবায়ুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য উপাদান বা নিয়ন্ত্রকের প্রভাব প্রায় থাকে না।
- অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা গঠনে নিষ্ক্রিয় বা সক্রিয় কোনো উপাদানের প্রভাব থাকে না।
২. বিষয় – জলবায়ু ও মৃত্তিকার সম্পর্ক
- একটি জলবায়ু কেবল মাত্র একটি আঞ্চলিক মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়।
- অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা উৎপত্তিতে জলবায়ুর কোন ভূমিকা থাকে না বলে একই মাটি বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়।
৩. বিষয় – মৃত্তিকা স্তর
- আঞ্চলিক মাটি পরিনত এবং একাধিক সুস্পষ্ট স্তর বিশিষ্ট ।
- অনাঞ্চলিক মাটি অপরিনত এবং স্তর বিহীন।
৪. বিষয় – সৃষ্টির কাল বা সময়
- মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া সমূহের কাজের শেষ পর্যায়ে এই মাটির সৃষ্টি হয়।
- অনাঞ্চলিক মৃত্তিকার ক্ষেত্রে মৃত্তিকা গঠনের কাজ সব সময় চলতে থাকে।
৫. বিষয় – গভীরতা
- আঞ্চলিক মৃত্তিকা গুলি পরিণত, তাই গভীরতা খুব বেশি হয়।
- পরিবাহিত দ্রব্যের জোগান ও ভূমিঢালের প্রকৃতির উপর অনাঞ্চলিক মাটির গভীরতা নির্ভর করে। তাই এই মাটির গভীরতা খুব কম হয়।
৬. বিষয় – স্থানিকতা
- আঞ্চলিক মৃত্তিকা জনক শিলার ওপর গড়ে উঠলেও জনক বা আদি শিলার কোন চিহ্নই এই মৃত্তিকায় থাকে না ।
- আদি শিলা থেকে অনেক দূরে পরিবাহিত হয়ে অনাঞ্চলিক মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়, তাই এই মাটি অস্থানিক প্রকৃতির।
- আঞ্চলিক মৃত্তিকার উদাহরন – চারনোজেম, সিরোজেম, ল্যাটেরাইট, পডসল, তুন্দ্রা প্রভৃতি
- অনাঞ্চলিক মৃত্তিকার উদাহরণ – পলিমাটি, লোয়েস মাটি প্রভৃতি
কোন মন্তব্য নেই: