উষ্ণ সীমান্ত ও শীতল সীমান্তের মধ্যে পার্থক্য
সীমান্ত বলতে দুটি বায়ুপুঞ্জের মধ্যবর্তী
সীমানা কে বোঝায়। উষ্ণ বায়ু সক্রিয় হয়ে উষ্ণ বায়ুপ্রাচীর বা সীমান্তের সৃষ্টি করে।আবার যে সীমান্ত বরাবর শীতল বায়ুপুঞ্জটি অধিক সক্রিয় হয় তাকে শীতল সীমান্ত বলে। উষ্ণ সীমান্ত ও শীতল সীমান্তের কিছু উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। উষ্ণ সীমান্ত ও শীতল সীমান্তের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
উষ্ণ সীমান্ত
|
শীতল সীমান্ত
|
|
সংজ্ঞা
|
উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ শীতল
বায়ুপুঞ্জ কে যে সীমান্তপৃষ্ট বা তল বরাবর স্থানচ্যুত করে, তাকে উষ্ণ সীমান্ত
বলে।
|
শীতল বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ
বায়ুপুঞ্জকে যে তল বরাবর স্থানচ্যুত করে, সেই সীমান্ত কে শীতল সীমান্ত বলে।
|
সীমান্ত পৃষ্টের প্রকৃতি
|
সীমান্ত তল বা পৃষ্ট
তির্যক প্রকৃতির । এই সীমান্ত ঢাল মৃদু হয়।
|
সীমান্ত তল উত্তল
প্রকৃতির। শীতল সীমান্তের ঢাল উষ্ণ সীমান্ত অপেক্ষা অনেক বেশি।
|
বায়ুর গতি প্রকৃতি
|
উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ
সীমান্ত বরাবর সক্রিয় ও গতিশীল। এই বায়ুপুঞ্জ কে শীতল বায়ুপুঞ্জ কে ধীর গতিতে
স্থানচ্যুত করে।
|
শীতল সিমান্ত বরাবর শীতল
বায়ুপুঞ্জের সক্রিয়তা বেশি। এই বায়ু উষ্ণ বায়ুকে অতিদ্রুত স্থান চ্যুত করে।
|
তাপ ও চাপ পরিবর্তনের হার
|
উষ্ণ সীমান্ত বরাবর শীতল
বায়ু পুঞ্জের উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়ে ও বায়ুর চাপ কমতে থাকে।
|
শীতল সীমান্ত বরাবর উষ্ণ
বায়ু পুঞ্জের উষ্ণতা ধীরে ধীরে কমে। ফলে বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পায়।
|
মেঘাচ্ছন্নতা
|
সীমান্ত সৃষ্টির প্রথম
পর্ব থেকেই উষ্ণ সীমান্ত বরাবর সিরাস মেঘের সঞ্চার ঘটে। পরবর্তী পর্যায়ে
অল্টোস্ট্রাটাস ও নিম্বোস্ট্রাটাস মেঘের সমাবেশ ঘটে।
|
প্রথম থেকেই
কিউমুলোনিম্বাস মেঘের সঞ্চার ঘটে।
|
আবহাওয়ার প্রকৃতি
|
উষ্ণ সীমান্ত বরাবর
বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় ঝঞ্ঝার পরিমান কম। বৃষ্টিপাতের তীব্রতাও কম।
|
শীতল সীমান্ত বরাবর বজ্র
বিদ্যুৎ সড় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়।
|
Ushno o shitol shimanto sristi hoy
উত্তরমুছুন