গ্রীনহাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রনের উপায়
১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরো, ২০০২ সালে
জোহানেসবার্গে এবং জাপানের কিয়োটো শহরে পরিবেশ সংক্রান্ত সম্মেলনে গ্রীনহাউস
গ্যাস গুলির নির্গমন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রন করার জন্য বিভিন্ন গ্রহন করা হয়েছে। বিভিন্ন
প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত উপায়ে গুলি গ্রহন করলে গ্রিনহাউস গ্যাস গুলির
নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলীয় কিছু গ্যাস রয়েছে
যাদের তাপমাত্রা শোষণ করার ক্ষমতা খুব বেশি। এই গ্যাস গুলি পার্থিব বিকিরনের বেশ কিছু
অংশ শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাকে বৃদ্ধি করে গ্রীন হাউস প্রভাব ঘটায় । এই গ্যাসগুলিকে গ্রীনহাউস গ্যাস বলে।
যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন ও জলীয়
বাষ্প। গ্রিন হাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রনের উপায়
১. জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস
– জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করে
বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান হ্রাস করা সম্ভব। জ্বালানীর প্রয়োজনহীন যানবাহন
ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
২. অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার – অচিরাচরিত
শক্তি যেমন বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি, ভূতাপীয় শক্তি ও জোয়ার ভাটার শক্তি ইত্যাদি ব্যবহারের প্রবনতা করতে
হবে।
৩. বনসৃজনে উৎসাহদান – অরন্যচ্ছেদন হ্রাস, বৃক্ষরোপণ
ও বনসৃজনের দিকে নজর দিতে হবে। যাতে গাছপালা অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
৪. প্রযুক্তি গত উন্নয়ন – যানবাহন ও শিল্পক্ষেত্রে
ইঞ্জিনের দক্ষতা বাড়িয়ে পেট্রোল ও ডিজেল ব্যবহার ও অপচয় কমিয়ে বাতাসে কার্বন ডাই
অক্সাইডের সঞ্চয় কমাতে হবে।
৫. আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ – মিথেন উৎপাদন কারী
আবর্জনার সঠিক প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের সঞ্চয় কমাতে হবে।
৬. CFC গ্যাসের উৎপাদন বন্ধ – এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, স্প্রে ক্যান প্রভৃতি
ক্ষেত্রে CFC ব্যবহারের পরিমান কমাতে হবে।
৭. জনসচেতনতা বৃদ্ধি – জনগনকে গ্রিনহাউস
গ্যাসের ক্ষতিকারক দিক গুলি সম্বন্ধে অবগত ও সচেতন করে তুলতে হবে।
৮. সরকারী নীতি – গ্রীনহাউস গ্যাস কমানোর
জন্য গবেষণার কাজে সরকারী সাহায্য ও উৎসাহ প্রধান এবং এই গ্যাসগুলি যাতে মাত্রা অতিরিক্ত
ভাবে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য কঠোর আইন প্রনয়ন একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
কোন মন্তব্য নেই: