মৃত্তিকার উপাদান হিসাবে জৈব পদার্থের গুরুত্ব
জৈব পদার্থ মৃত্তিকার একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। মূলত আবহবিকারের ফলে সৃষ্ট শিলাখন্ডের
সাথে জৈব পদার্থের মিশ্রণে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। মৃত্তিকার সাথে জৈব পদার্থের
মিশ্রনে মাটির বিভিন্ন গুনাবলি অনেকটা বৃদ্ধি পায়। যেমন -
১. উদ্ভিদের পুষ্টিমৌলের জোগান
– আবহবিকারের ফলে শিলা যখন চূর্ন বিচূর্ন হয় তখন তার সাথে
শিলা মধ্যস্থিত খনিজ যেমন – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম প্রভৃতি উদ্ভিদ পুষ্টিমৌল গুলি নির্গত হয়। এই পুষ্টি মৌল গুলি উদ্ভিদ দ্বারা
গৃহীত হয় এবং তাদের মৃত্যুর পর সেগুলি আবার মৃত্তিকায় ফিরে আসে, এই ভাবে মৃত্তিকায় পুষ্টিমৌলের জোগান বজায় থাকে।
২. আয়ন বিনিময় ক্ষমতার বৃদ্ধি – মৃত্তিকার আয়ন বিনিময় ক্ষমতা নির্ভর করে জৈব পদার্থের
উপর। জৈব পদার্থের সুক্ষ্ম কনা গুলি ঋনাত্মক আয়ন যুক্ত হওয়ায় এগুলি ধনাত্মক আয়ন যুক্ত
কনা গুলিকে নিজের দিকে আকর্ষন করে। একেই মৃত্তিকার আয়ন বিনিময় বলা হয়। জৈব কনার আয়ন বিনিময় ক্ষমতা খনিজ কনার আয়ন বিনিময় ক্ষমতা থেকে ২ থেকে ৩০ গুন বেশি।
৩. মৃত্তিকার রং বা বর্ন – জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ মৃত্তিকার রং হয় কালো । এই জৈব পদার্থের তারতম্যের জন্যই
মৃত্তিকার বিভিন্ন অংশের রং ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির হয়।
৪. মৃত্তিকার সংযুক্তি ও নমনীয়তার
পরিমান বৃদ্ধি – জৈব পদার্থ মাটির সংযোগশীলতা পরিমান বৃদ্ধি করে। জৈব পদার্থের উপস্থিতি মৃত্তিকার
নমনীয়তার বৃদ্ধি ঘটায় যার ফলে মৃত্তিকা বিভিন্ন আকৃতি ধারনে সক্ষম হয়।
৫.মৃত্তিকার
জলধারন ক্ষমতার
বৃদ্ধি – যে মৃত্তিকায় জৈব পর্দাথের পরিমান বেশি সেই মৃত্তিকার
জলধারণ ক্ষমতাও অনেক বেশি হয়।
৬. মৃত্তিকার ভৌত অবস্থার উন্নয়নে জৈব পদার্থ বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে থাকে। যেমন - এঁটেল মাটি জৈব পদার্থের মিশ্রনে সচ্ছিদ্র হয়।
৭. গাছের খাদ্যভান্ডার হিসাবে জৈব পদার্থ বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং মাটিতে খাদ্যোপাদান সরবরাহ করে।
৮. মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্বকে নিয়ন্ত্রন করে।
৯. মাটির উর্বরতা ও উৎপাদিকা শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
১০. সর্বোপরি জৈব পদার্থ হল গাছের প্রান। যা মৃত্তিকায় প্রান সঞ্চারে ভূমিকা গ্রহন করে। এই জৈব পদার্থ ছাড়া মাটি জড় বস্তু।
৬. মৃত্তিকার ভৌত অবস্থার উন্নয়নে জৈব পদার্থ বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে থাকে। যেমন - এঁটেল মাটি জৈব পদার্থের মিশ্রনে সচ্ছিদ্র হয়।
৭. গাছের খাদ্যভান্ডার হিসাবে জৈব পদার্থ বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং মাটিতে খাদ্যোপাদান সরবরাহ করে।
৮. মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্বকে নিয়ন্ত্রন করে।
৯. মাটির উর্বরতা ও উৎপাদিকা শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
১০. সর্বোপরি জৈব পদার্থ হল গাছের প্রান। যা মৃত্তিকায় প্রান সঞ্চারে ভূমিকা গ্রহন করে। এই জৈব পদার্থ ছাড়া মাটি জড় বস্তু।
কোন মন্তব্য নেই: