সম্পদের বৈশিষ্ট্য সমূহ
সম্পদ কাকে বলে - যেসব প্রকৃতি প্রদত্ত উপাদান মানুষের চাহিদা পূরণ করে তাদের সম্পদ বলা হয়। কোন বস্তু বা পদার্থকে সম্পদ বলা হয় না। ওই বস্তু বা পদার্থের চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে সম্পদ বলা হয়। অধ্যাপক জিমারম্যান এর মতে "সম্পদ বলতে কোন বস্তু বা কোন পদার্থকে বোঝায় না, বোঝায় কোনো কার্যকারিতা যা ঐ বস্তু বা পদার্থ সংঘটিত করতে পারে। সম্পদের বৈশিষ্ট্য গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো
A. উপযোগিতা - যেসব বস্তু বা উপকরণ এর উপযোগিতা আছে তাদের সম্পদ বলে গণ্য করা হয় যেমন - খাদ্য, বাসস্থান, মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি প্রভৃতি।
B. কার্যকারিতা - আমরা কোন কিছুকে তখনই সম্পদ বলে বিবেচনা করি যখন সেটি মানুষের কোন না কোন প্রয়োজন বা অভাব মেটাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যেমন কয়লা সম্পদ নয় কয়লার চাহিদা পূরণে ক্ষমতায় সম্পদ।
C. সর্বজনীন চাহিদা - সম্পদ তাকেই বলা হয় যার ব্যাপক বা সর্বজনীন চাহিদা আছে। যেমন - জল, বায়ু, খনিজ তেল ইত্যাদি। মানুষের কাছে যার চাহিদা নেই তাকে সম্পদ বলে গণ্য করা হয় না।
D. সীমিত সরবরাহ - সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল তার সীমিত যোগান। অবশ্য কোনো কোনো সম্পদ অফুরন্ত হয়। যেমন নদীর জল। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের বিচারে প্রাকৃতিক সম্পদের যোগান সীমাবদ্ধ। যেমন - খনিজ সম্পদ।
E. ক্ষয়শীলতা - সম্পদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য তার ক্ষয়শীলতা বা বিলোপ প্রবণতা। যেমন ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে কয়লার পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
F. প্রয়োগ যোগ্যতা - যে বস্তু বা দ্রব্য যত ভালো মানুষের চাহিদা পূরণে সক্ষম সে বস্তু বা দ্রব্য ততো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। যেমন - আকরিক লোহার তুলনায় ইস্পাতের প্রয়োগ যোগ্যতা বেশি।
G. সুগম্যতা - কোন বস্তুকে সম্পদে পরিণত হতে হলে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেমন হিমালয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা ও জন বিরলতার দরুন ব্যবহার করার অসুবিধা।
H. গ্রহণযোগ্যতা - জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সম্পদের গ্রহন যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
I. পরিবেশ মিত্রতা - সম্পদের সেই প্রবণতার থাকা দরকার যার সাহায্যে উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ সুরক্ষিত থাকে। মানুষের শিক্ষা প্রযুক্তি ও সচেতনতায় হল সেই সব সম্পদ যেগুলি জীবমণ্ডল কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই: