রূঢ় শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার কারণ


জার্মানির রাইন ও তার দুই উপনদী রূঢ় ও লিপের সংযোগ স্থলে কয়লা খনি কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পাঞ্চল রূঢ় শিল্পাঞ্চল। এই শিল্পাঞ্চলের উত্তরে লিপে নদী, দক্ষিণে রূঢ় ও পশ্চিমে রাইন নদী প্রবাহিত হয়েছে। আর পূর্ব সীমানায় রয়েছে সয়ার ল্যান্ড উচ্চ ভূমি।  প্রায় 4600 বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত জার্মানি তথা ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ট রূঢ় শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার কারণ গুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো। 

A) কয়লার প্রাচুর্য - এই অঞ্চলের রাইন, রূঢ় ও লিপে নদীর মাঝে প্রচুর পরিমাণে অ্যানথ্রাসাইট ও বিটুমিনাস শ্রেণীর উৎকৃষ্ট মানের কয়লা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা এই শিল্পাঞ্চলের বিকাশে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

B) উন্নত পরিবহন - এই অঞ্চলের রেল, সড়ক ও জলপথ পরিবহন ব্যবস্থা খুব উন্নত, যা এই অঞ্চলে শিল্পের বিকাশে সাহায্য করেছে। রাইন নদীর পূর্ব দিকে রাইন হার্ণে ডট মুন্ড খাল ও উত্তরে লিপে খাল কাটা হয়েছে । নদী গুলি এই খাল পথের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত ও সারা বছর নৌ পরিবহনের উপযুক্ত। রূঢ় শিল্পাঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত হামবুর্গ বন্দর এই শিল্পাঞ্চলের বিকাশে যথেস্ট সাহায্য করেছে। 

C) স্থানীয় লৌহ আকরিক - রূঢ় শিল্পাঞ্চলের অন্যতম প্রধান শিল্প হল লৌহ ইস্পাত শিল্প। যা এই অঞ্চলের সিয়েগেরলান্ড অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রচুর পরিমাণ লৌহ আকরিক ও ফ্রান্স, ইংল্যান্ড থেকে আমদানি কৃত লৌহ আকরিকের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। 

D) ঘন জনবসতি - পশ্চিম জার্মানির এই অঞ্চলটি অন্যতম প্রধান ঘনবসতি পূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় শিল্পের প্রয়োজনীয় সুলভ, আধুনিক কারিগরি বিদ্যায় দক্ষ শ্রমিক এর অভাব হয় না। এই অঞ্চলের অন্তর্গত ডু সেল ডফ, এসেন, ডট মুন্ড প্রভৃতি প্রধান প্রধান শহর গুলিতে প্রায় 10 মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে যা এই শিল্পাঞ্চলের উৎপাদিত দ্রব্যের বিশাল বাজার গড়ে তুলেছে। 

রূঢ় শিল্পাঞ্চলে লৌহ ইস্পাত শিল্পের সাথে সাথে অন্যান্য শিল্পেরও সন্নিবেশ লক্ষ্য করা যায়। যেমন - লৌহ ইস্পাত, ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক, সিমেন্ট, বস্ত্র বয়ন শিল্প প্রভৃতি। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.