প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির পার্থক্য


অর্থনৈতিক ভূগোল শক্তি সম্পদ অধ্যায়ের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির পার্থক্য। এই প্রচলিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তির পার্থক্য গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল।

সংজ্ঞা
👉 শক্তি উৎপাদনের যেসব উৎসগুলি মানুষ বহুদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে অর্থাৎ শক্তির উৎস হিসেবে যেগুলি র প্রচলন বেশি সেগুলিকে শক্তির প্রচলিত বা চিরাচরিত উৎস বলে। 

👉 শক্তির যেসব উৎসগুলি বিশ্বের জনপ্রিয় নয় অর্থাৎ পৃথিবীতে শক্তি উৎপাদনে এমন কতগুলি উৎস আছে যেগুলি বহুল ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি এই ধরনের উৎস গুলিকে শক্তি অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত উৎস বলা হয়। 

উৎস
👉 প্রচলিত শক্তির উৎস গুলি হল খনিজ তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি।

👉 অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি হল সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, ভূ তাপীয় শক্তি, জোয়ার ভাটার শক্তি, জৈব গ্যাস ইত্যাদি।

প্রকৃতি
👉 প্রচলিত শক্তির উৎস গুলি গচ্ছিত, ক্ষয়িষ্ণু বা অপুণর্ভব সম্পদ।
👉 অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি অফুরন্ত বা প্রবাহমান সম্পদ।

পরিমাণ 
👉 প্রচলিত শক্তির উৎস গুলির পরিমাণ সীমিত হওয়ায়, ব্যবহারের ফলে একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে।

👉 অপ্রচলিত শক্তি গুলির পরিমাণ অফুরন্ত যা কখনোই নিঃশেষ হবে না।

পরিবেশ দূষণ

👉 প্রচলিত শক্তি গুলি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়।

👉 অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারে কোন রকম পরিবেশ দূষিত হয় না বলে এগুলিকে পরিবেশ বান্ধব শক্তি বলে।

প্রযুক্তি
👉 প্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি সহজলভ্য।

👉 অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি সহজলভ্য নয়।

মূলধন
👉 প্রচলিত শক্তির উৎস গুলি আরোহণ ও ব্যবহারের জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়।

👉 অপ্রচলিত শক্তির উৎপাদনে প্রযুক্তি সহজলভ্য নয় বলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন পড়ে।

পরিবহন যোগ্যতা
👉 প্রচলিত শক্তির অধিকাংশ উৎস গুলিকে স্থানান্তরিত করা যায়। 
👉 অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলিকে স্থানান্তর করা যায় না

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.