অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লুডের মধ্যে পার্থক্য
ভৌম জল সম্পর্কিত আলোচনায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারনা হলো অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লুড। এখানে অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লুডের মধ্যে পার্থক্য গুলি আলোচনাা করা হল।
অ্যাকুইফার ও অ্যাকুইক্লুডের মধ্যে পার্থক্য
1) সংজ্ঞা
👉 মাটির নিচে জলবহনকারী স্তরকে অ্যাকুইফার বলে।
👉 মাটির নিচে যে শিলা জল ধারনে সক্ষম কিন্তু পরিবহনে অক্ষম তাদের অ্যাকুইক্লুড বলে।
2) উদাহরণ
👉 অ্যাকুইফারের উদাহরণ হল বেলে পাথর ও চুনাপাথর।
👉 অ্যাকুইক্লুডের উদাহরণ হল কাদা পাথর।
3) প্রকৃতি
👉 অ্যাকুইফার একপ্রকার প্রবেশ্য ও সচ্ছিদ্র শিলাস্তর।
👉 অ্যাকুইক্লুড প্রকৃতি গত দিক থেকে অপ্রবেশ্য শিলা কিন্তু সচ্ছিদ্র।
4) অবস্থান
👉 অ্যাকুইফারের নিচে সবসময় অপ্রবেশ্য শিলা অবস্থান করে।
👉 অ্যাকুইক্লুড প্রবেশ্য শিলা স্তরের নিচে প্রবেশ্য শিলা স্তর কে বেষ্টন করে অবস্থান করে।
5) ভৌমজল ভান্ডার
👉 অ্যাকুইফার কে কেন্দ্র করেই ভৌমজল ভান্ডার গড়ে ওঠে।
👉 অ্যাকুইক্লুডে খুব সামান্য পরিমাণ জল থাকে বলে ভৌমজল ভান্ডার গড়ে ওঠে না এবং প্রবেশ্যতা কম বলে ভৌমজল ভান্ডার গড়ে তুলতে ও সাহায্য করে না।
6) জল সরবরাহ
👉 অ্যাকুইফার থেকেই আমরা সারা বছর ধরে কূপ ও নলকূপের মাধ্যমে জল পেয়ে থাকি।
👉 অ্যাকুইক্লুড থেকে কূপ ও নলকূপের জল সরবরাহ হয় না।
কোন মন্তব্য নেই: