কার্বন ফুটপ্রিন্ট এবং কার্বন সিঙ্ক এর ধারণা
কার্বন ফুটপ্রিন্ট কাকে বলে
আমরা আমাদের প্রতি দিনের কাজের দ্বারা পৃথিবীতে যে পরিমান গ্রিন হাউস গ্যাস ত্যাগ করি তাকে
বোঝাতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট শব্দটি
ব্যবহার হয়। অন্য ভাবে বললে এটি মানুষের দ্বারা পরিবেশের উপর প্রভাব পরিমাপ করে।
কি অনুপাতে গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি হয় তার ভিত্তিতে এটি পরিমাপ করা হয় এবং একক
হিসাবে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে
ব্যক্তি পিছু কার্বন ফুটপ্রিন্ট এর পরিমান ১৬
টন/বছর, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক। বিশ্বে গড় ৪ টন/বছর। বিশ্ব তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচতে ২০৫০
সালের মধ্যে বিশ্বে গড় কার্বন ফুটপ্রিন্ট এর পরিমান ২ টনে নামাতে হবে।
কার্বন সিঙ্ক কাকে বলে
কার্বন সিঙ্ক বলতে কোনো
কিছু যে পরিমান কার্বন ত্যাগ করে তার থেকে বেশি গ্রহন করা কে বোঝায় । অরণ্য,
প্রানী। মহাসাগর, মৃত্তিকা, জলভাগ ও বায়ুমন্ডল প্রভৃতি কার্বন ধারন করে রাখে এবং
এগুলির মধ্যেই কার্বনের চক্রাকার আবর্তণ হতে থাকে। এই ভাবে পরিবেশে কার্বনের
ভারসাম্য বজায় থাকে।
কিন্তু শিল্প বিপ্লবের
পর থেকে এই ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। কয়লা, তেল প্রভৃতির দহনের ফলে অতিরিক্ত কার্বন
বাতাসে মুক্ত হচ্ছে। যে উৎস অতিরিক্ত কার্বন বাতাসে মুক্ত হচ্ছে, তাদের কার্বন উৎস
বলে এবং যে উৎস গুলি বাতাস থেকে কার্বন শোষিত হচ্ছে ও নিজের মধ্যে সঞ্চিত রাখছে
তাদের কার্বন গ্রহিতা বলে।
কোন মন্তব্য নেই: