ডিপ ইকোলজি কাকে বলে
ডিপ ইকোলজি
পরিবেশতত্ত্বের একটি সাম্প্রদায়িক শাখা যা মানবজাতিকে পরিবেশের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ
হিসেবে বিবেচনা করে। এই মতাদর্শ মানুষ ও অন্য জীবদের মধ্যে
আন্তঃনির্ভরশীলতাকে
যেমন গুরুত্ব দেয় তেমনি বাস্তুতন্ত্র ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গুলোকেও গুরুত্ব দেয়।
এটি পরিবেশগত এবং সবুজ আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরিবেশ গত নীতি শাস্ত্রের
একটি নতুন প্রনালীর দিকে পরিচালিত করে।
গভীর
বাস্তুশাস্ত্রের মূল নীতি হল – মানবতার মতো সামগ্রিক
ভাবে জীবিত পরিবেশেরও বেঁচে থাকার এবং বিকাশের একই অধিকার রয়েছে। গভীর বাস্তুশাস্ত্রকে “গভীর” হিসাবে
বর্ননা করার কারণ হল, এটি “কেন” এবং “কিভাবে” সম্পর্কীত গভীর প্রশ্ন গুলি করে ।
জীববিজ্ঞানের শাখা হিসাবে
জীববিদ্যার সংকীর্ন দৃস্তিভঙ্গি যা শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে
সম্পর্কীত, তাতে আবদ্ধ না থেকে বাস্তু
মন্ডলের অংশ হিসাবে পরিবেশ মানুষের উপর কি রূপ প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে দার্শনিক
প্রশ্ন গুলির সাথে যুক্ত থাকে।
ধারনার বিকাশঃ
“গভীর
বাস্তুশাস্ত্র” শব্দটি ১৯৭৩
সালে নরওয়েজিয়ান দার্শনিক আর্ন ন্যাস প্রথম ব্যবহার করেন এবং তিনি এটিকে একটি তাত্ত্বিক
ভিত্তি দিতে সহায়তা করেছিলেন।
গভীর বাস্তুবিদ্যা ও পরিবেশবাদ
অনুসারে বাস্তুবিজ্ঞান দেখায় বাস্তুতন্ত্র গুলি মানব ও অন্যান্য বিচ্ছিন্ন কারণে
সৃষ্ট পরিবর্তনের সীমিত অংশ কেই শোষণ করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক মানব
সভ্যতার ক্রিয়াকলাপ গুলি বিশ্বব্যাপী বাস্তুসংস্থানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
যেমন পরিবেশবিদরা লক্ষ্য করছেন, বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে,
জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে, জলবায়ুর পরিবর্তন ও আরো অনেক প্রভাব লক্ষ্য করা
যাচ্ছে। ফলস্বরূপ পৃথিবী জীব মণ্ডল তার প্রাকৃতিক অবস্থা থেকে অনেক দূরে সরে
যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই: