রাসায়নিক ধর্ম অনুসারে মৃত্তিকার শ্রেণীবিভাগ
রাসায়নিক ধর্ম অনুসারে মৃত্তিকাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয় – ১. পেডোক্যাল ২. পেডালফার
১. পেডোক্যাল মৃত্তিকা - পেড শব্দের অর্থ হল মাটি এবং ক্যাল শব্দের অর্থ হল ক্যালসিয়াম।
অর্থাৎ চুনজাতীয় মৃত্তিকাকে পেডোক্যাল মৃত্তিকা বলে।
কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে এই ধরণের মাটি সৃষ্ট হয়। কারণ
বৃষ্টিপাতের অভাবে এই মাটিতে চুন ও লবন অপসারিত হতে পারে না ফলে মাটি ক্ষারকীয় প্রকৃতির
হয়। এই মাটিতে হিউমাসের পরিমান কম থাকে। এই মাটি ধূসর কালচে রঙের হয়।
উদাহরণ – সেরোজেম, চেস্টনাট, চারনোজেম
২. পেডালফার মৃত্তিকা - যে মৃত্তিকায় অ্যাল অর্থাৎ অ্যালুমিনিয়াম, ফার অর্থাৎ
ফেরাস বা লোহা বেশি থাকে। সেই মাটিকে পেডালফার মৃত্তিকা বলে।
সাধারণত বেশি বৃষ্টিপাত
যুক্ত অঞ্চলে মাটির মধ্যস্থিত লবন অপসারিত হয়ে মাটির নিম্ন স্তরে চলে যায় এবং অ্যালুমিনিয়াম
ও লোহা মিশে পেডালফার মাটি গঠিত হয়। এই মাটি আম্লিক প্রকৃতির হয়।
উদাহরণ – পডসল, তুন্দ্রা ও রোহিত মৃত্তিকা
পেডোক্যাল ও পেডালফার মৃত্তিকার পার্থক্য:
বিষয়
|
পেডোক্যাল
|
পেডালফার
|
আঞ্চলিকতা
|
এটি শুষ্ক অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
|
এটি আদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
|
প্রক্রিয়া
|
বাস্পীভবন বেশি হয় বলে, এই কৌশিক প্রক্রিয়ায় গঠিত
হয়।
|
অধিক বৃষ্টিপাতের জন্য এটি অনুস্রবনের ফলে সৃষ্ট।
|
খনিজের প্রাধান্য
|
ক্যালসিয়াম কার্বনেটের প্রাধান্য থাকে।
|
অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার প্রাধান্য থাকে।
|
pH এর মান
|
ক্ষারকীয় মৃত্তিকা, pHএর মান ৭ এর বেশি হয়।
|
আম্লিক মৃত্তিকা, pHএর মান ৭ এর কম হয়।
|
বর্ন
|
চুন, লবন ও জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এটি কালচে রঙের হয়।
|
লোহার অক্সাইড বেশি থাকায় এই মাটির রং লালচে।
|
কোন মন্তব্য নেই: