অনুলোম চ্যুতি ও বিলোম চ্যুতি বলতে কি বোঝ ।
ভূ-আলোড়নের ফলে সৃষ্ট ফাটল বরাবর শিলার একটি অংশ থেকে অন্য অংশের স্খলন বা অপসারন কে চ্যুতি বলে।
উৎপত্তি অনুসারে চ্যুতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
অনুলোম চ্যুতি ও বিলোম চ্যুতি
অনুলোম চ্যুতি/ Normal Fault
শিলা স্তরে টানের ফলে ঊদ্ধস্তুপ অধোস্তুপের তুলনায় চ্যুতিতল
বরাবর নিচের দিকে অবনমিত হলে, যে চ্যুতির সৃষ্টি হয়, তাকে অনুলোম চ্যুতি বলে।
বৈশিষ্ট্য
ক) সৃষ্টির কারণ – ভূ-আলোড়নের ফলে শিলাস্তরের ওপর টানের
প্রভাবে অনুলোম চ্যুতির সৃষ্টি হয়।
খ) চ্যুতি তলের নতি - অনুলোম চ্যুতি সৃষ্টির সময় চ্যুতিতলের
মান সাধারণত ৪৫ ডিগ্রি থেকে ৯০ ডিগ্রির মতো হয়।
গ) ভৃগুতটের সৃষ্টি – শিলাস্তরের খাড়া ঢাল বিশিষ্ট অংশ
কে ভৃগুতট বলে। স্বাভাবিক চ্যুতির ফলে সৃষ্ট ভৃগুতট খুব খাড়া হয়।
ঘ) চ্যুতি ভূভাগের প্রকৃতি – অনুভূমিক তল বরাবর চ্যুতি
ভূভাগের সম্প্রসারন হয়।
বিলোম চ্যুতি / Reserve Fault
শিলাস্তরের সংকোচন বা সংনমনের ফলে উদ্ধস্তুপ চ্যুতিতল
বরাবর অধোস্তুপের ওপর উত্থিত হলে, যে চ্যুতির সৃষ্টি হয়, সেই চ্যুতি কে বিলোম চ্যুতি
বলে।
বৈশিষ্ট্য –
ক) সৃষ্টির কারণ – ভূ-আলোড়নের ফলে শিলাস্তরের ওপর সংকোচন
বা সংনমনের প্রভাবে বিলোম চ্যুতির সৃষ্টি হয়।
খ) চ্যুতি তলের নতি – বিলোম চ্যুতির ক্ষেত্রে চ্যুতি তলের
মান ০-৪০ ডিগ্রির মতো হয়।
গ) ঝুলন্ত ভৃগুর গঠন - বিলোম চ্যুতির ফলে ঝুলন্ত ভৃগু গঠিত হয়।
ঘ) চ্যুতি ভূভাগের প্রকৃতি –অনুভূমিক
তল বরাবর চ্যুতি ভূভাগের সংকোচন হয়।
কোন মন্তব্য নেই: