পেডিমেন্ট ও বাজাদা কাকে বলে।।
মরু ক্ষয়চক্রের ফলে সৃষ্ট ভূমিরুপগুলির মধ্যে অন্যতম ভূমিরূপ
হল পেডিমেন্ট ও বাজাদা। মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশের পশ্চাৎ সরনের ফলে পেডিমেন্ট গঠিত হয়। অন্যদিকে পর্বতের পাদদেশে নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট পলল ব্যজনির সংযুক্ত করনের ফলে বাজাদা গঠিত হয়। পেডিমেন্ট ও বাজাদা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।
পেডিমেন্ট – পেডিমেণ্ট দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। যথা – ‘পেডি’ শব্দের অর্থ পাদদেশ এবং ‘মেণ্ট’ মানে পর্বত। অর্থাৎ পেডিমেণ্ট শব্দের অর্থ
পর্বতের পাদদেশের ঢালু অংশকে বোঝায়।
গঠন – উচ্চভূমির সম্মুখভাগের পশ্চাৎ সরনের ফলে উচ্চভূমি সমান্তরাল
ভাবে কর্তিত হয়ে পেডিমেন্ট সৃষ্টি করে।
ভূমির প্রকৃতি – পেডিমেণ্ট গুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তর খণ্ড, বালি, পলি দ্বারা আবৃত থাকতে পারে আবার উন্মুক্তও থাকতে পারে। পেডিমেণ্ট গুলি মৃদু ঢালে বিস্তৃত
ও ভূমিভাগ অবতল প্রকৃতির ।
প্রক্রিয়া সমূহ – আবহবিকার, পুঞ্জিতক্ষয়, জলধারা ও বায়ু প্রবাহ এগুলির যৌথ কাজের ফলে পেডিমেণ্ট
সৃষ্টি হয়।
বাজাদা – পেডিমেণ্টের সম্মুখ ভাগে সঞ্চয়জাত যে সমতলভূমি গঠিত হয়, তাকে বাজাদা বলে।
গঠন – মরু অঞ্চলে পেডিমেন্টের
সম্মুখ ভাগের অবনমিত অংশে জলধারা বাহিত বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি ও কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে বাজাদা সৃষ্টি হয়।
ভূমির প্রকৃতি – বাজাদা সঞ্চয় জাত সমভূমি । এই অংশে ভূমির ঢাল মৃদু উত্তল
প্রকৃতির হয়।
প্রক্রিয়া সমূহ – মূলত জলধারার সঞ্চয় কার্যের ফলে পেডিমেণ্ট সম্মুখে শিলাখন্ড, কাঁকর, বালি ও পলি সঞ্চিত হয়ে বাজাদা
সৃষ্টি হয়।
কোন মন্তব্য নেই: