মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য
মৌসুমি শব্দটির উৎপত্তি আরবীয় শব্দ মৌসিন থেকে যার অর্থ ঋতু। তাই মৌসুমি বায়ু হচ্ছে একটি ঋতুভিত্তিক বায়ু যা ঋতু পরিবর্তনের
সাথে সাথে বায়ু প্রবাহের দিকেরও পরিবর্তন করে থাকে। এখানে মৌসুমী বায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মৌসুমি বায়ু কাকে বলে
স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে জলভাগ ও স্থলভাগের মধ্যে যে বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলি হল
১. স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
২. শীত ও গ্রীষ্মকালে
বায়ুর বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। যেমন – গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে
এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
৩. মৌসুমি
বায়ুর প্রভাবে প্রধানত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এবং শীতকাল শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির
হয়।
৪. মৌসুমি
বায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তা সাধারনত শৈলোৎক্ষেপ শ্রেনীর হয়ে থাকে ।
৫. মৌসুমি
বায়ু কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয়, অন্য সময় এই বায়ুর স্থায়িত্ব থাকে
না বলে, মৌসুমি বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলা
হয়।
৬. মৌসুমি
বায়ুর প্রবাহ অনেক গুলো কারনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের কোন
সুনিশ্চয়তা নেই। তাই কোন কোন বছর মৌসুমি বায়ু সময়ের আগে আবার কোন কোন বছর সময়ের পরে
প্রবাহিত হয়ে থাকে।
৭. মৌসুমি
বায়ু গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে এবং শীতকালে জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে
প্রবাহিত হয় বলে, মৌসুমি বায়ুকে স্থলবায়ু ও সমুদ্র বায়ুর বৃহৎ সংস্করন বলা হয়ে থাকে।
৮. যে অঞ্চল
গুলিতে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়, সেই অঞ্চল গুলিকে মৌসুমি জলবায়ুর
দেশ বলা হয়ে থাকে। যেমন – ভারতে এই বায়ুর প্রভাব সর্বাধিক থাকায় ভারতবর্ষকে আদর্শ
মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয়ে থাকে।
👉 মৌসুমী বায়ু ভারতে আসার কারণ - click here
কোন মন্তব্য নেই: