ভূমিকম্পের দেহ তরঙ্গ ও পৃষ্ঠ তরঙ্গের পার্থক্য


ভূমিকম্পের তরঙ্গ গুলিকে প্রবাহ মাধ্যম অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয় - দেহ তরঙ্গ ও পৃষ্ঠ তরঙ্গ। এখানে ভূমিকম্পের দেহ তরঙ্গ ও পৃষ্ঠ তরঙ্গের পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

1) সংজ্ঞা 
👉 ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন হয়ে যে ভূমিকম্প তরঙ্গ গুলি পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপকেন্দ্রে এসে পৌঁছায়। তাদের দেহ তরঙ্গ বলে। 
👉 যে ধীর গতি সম্পন্ন ভূ-কম্পীয় তরঙ্গ উপকেন্দ্র থেকে ভূ পৃষ্ঠের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সেই তরঙ্গ কে পৃষ্ঠ তরঙ্গ বলে। 

2) তরঙ্গ
👉 ভূমিকম্পের P ও S তরঙ্গ কে দেহ তরঙ্গ বা body wave বলে। 
👉 ভূমিকম্পের L তরঙ্গ কে পৃষ্ঠ তরঙ্গ বা Surface wave বলে।

3) তরঙ্গের প্রকৃতি
👉 দেহ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য ও অনুপ্রস্থ প্রকৃতির হয়।
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গ তির্যক প্রকৃতির হয়।

4) দৈর্ঘ্য 
👉 দেহ তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য তুলনামূলক ভাবে কম হয়।
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।

5) গতিবেগ 
👉 দেহ তরঙ্গ সর্বাপেক্ষা দ্রুত গতির তরঙ্গ। 
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গের বেগ অনেক কম।

6) বিস্তৃতি 
👉 দেহ তরঙ্গ গুরু মন্ডল ও কেন্দ্র মণ্ডলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপকেন্দ্র এসে পৌঁছায়। 
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গ কেবল মাত্র ভূ পৃষ্ঠ বরাবর প্রবাহিত হয়। 

7) তীব্রতা 
👉 সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী তরঙ্গ হল দেহ তরঙ্গ
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী তরঙ্গ।

8) ধ্বংসাত্মক তরঙ্গ 
👉 ভূ অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে দেহ তরঙ্গের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক কম।
👉 সর্বাপেক্ষা বিধ্বংসী তরঙ্গ। পৃষ্ঠ তরঙ্গের ফলে ভূপৃষ্ঠে প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি হয়। 

9) স্থায়িত্ব
👉 দেহ তরঙ্গ স্থায়িত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
👉 পৃষ্ঠ তরঙ্গের স্থায়িত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি।

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.