শল্কমোচন ও ক্ষুদ্রকনা বিশরণের পার্থক্য
চাপ, তাপ ও আর্দ্রতার পার্থক্য জনিত কারণে কোন স্থানের শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যদি সেখানেই পড়ে থাকে তবে তাকে আবহ বিকার বলে। যান্ত্রিক আবহবিকারের দুটি গুরুত্ব পূর্ন পদ্ধতি হল শল্কমোচন ও ক্ষুদ্রকনা বিশরণ। এখানে শল্কমোচন ও ক্ষুদ্রকনা বিশরণের পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
1) অবহবিকারের প্রকৃতি
👉 শল্কমোচনের ফলে শিলা স্তর পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায়।
👉 ক্ষুদ্রকনা বিশরণের ফলে শিলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডে পরিণত হয়।
2) শিলার ধরন
👉 শল্কমোচন সমজাতীয় শিলায় হয়ে থাকে।
👉 ক্ষুদ্রকনা বিশরণ বিষম খনিজ যুক্ত শিলাস্তরে হয়ে থাকে।
3) আবহবিকারের কারণ
👉 একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিলার ওপরের অংশ যত দ্রুত উত্তপ্ত হয় শিলার ভিতরের অংশ তত দ্রুত উত্তপ্ত হতে পারে না বলে, শিলায় শল্কমোচন ঘটে।
👉 বিভিন্ন খনিজের তাপ গ্রহণ ক্ষমতা বিভিন্ন হওয়ায় তাপের পার্থক্য জনিত কারণে ক্ষুদ্রকনা বিশরণ ঘটে থাকে।
4) শব্দ
👉 শল্কমোচনের ক্ষেত্রে শিলা স্তর কোনো রকম শব্দ না করে স্তরে স্তরে খসে যায়।
👉 ক্ষুদ্রকনা বিশরনের ক্ষেত্রে শিলা স্তর প্রচন্ড শব্দে ভেঙে যায়।
5) চূর্ন বিচূর্ণ শিলার প্রকৃতি
👉 শল্কমোচনের ফলে সৃষ্ট শিলা চূর্ণ অপেক্ষাকৃত গোলাকার ও বড়ো হয়।
👉 ক্ষুদ্রকনা বিশরনের ফলে সৃষ্ট শিলা চূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়।
কোন মন্তব্য নেই: