ভূমিকম্পের P ও S তরঙ্গের পার্থক্য


পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তর থেকে উৎপন্ন শক্তি পৃথিবী পৃষ্ঠে সামুদ্রিক ঢেউ এর মত যে তরঙ্গের সৃষ্টি করে, তাকে ভূমিকম্প বলে। এই ভূমিকম্প জনিত তরঙ্গ গুলিকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে 3 ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - P তরঙ্গ বা প্রাথমিক তরঙ্গ, S তরঙ্গ বা গৌণ তরঙ্গ ও L তরঙ্গ বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ। এখানে ভূমিকম্পের P ও S তরঙ্গের পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

1. সংজ্ঞা 
👉 ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথম যে তরঙ্গ সিসমোগ্রাফ এ ধরা পরে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠে প্রথম এসে পৌঁছায় তাকে প্রাথমিক তরঙ্গ বা P তরঙ্গ বলে।
👉 প্রাথমিক তরঙ্গের যে ভূকম্পীয় তরঙ্গ ভূমিকম্প লেখ যন্ত্রে ধরা পড়ে তাকে গৌণ তরঙ্গ বা S তরঙ্গ বলে। 

2. তরঙ্গের প্রকৃতি
👉 P - তরঙ্গ শব্দ তরঙ্গের অনুরূপ।
👉 S - তরঙ্গ আলোক তরঙ্গের অনুরূপ।

3. প্রবাহ মাধ্যম
👉 P - তরঙ্গ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় সব রকমের মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে তরঙ্গ ভ্রমণ করতে পারে।
👉 S - তরঙ্গ কেবলমাত্র কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ভ্রমণে সক্ষম।

4. অপর নাম
👉 P তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ নামে পরিচিত।
👉 S তরঙ্গ অনুপ্রস্থ তরঙ্গ নামে পরিচিত। 

5. গতিবেগ
👉 সবচেয়ে গতিবেগ সম্পন্ন তরঙ্গ হল  P তরঙ্গ। গড় গতিবেগ 6 কিমি / সেকেন্ড।
👉 S তরঙ্গের গতিবেগ মাঝারি, গড়ে 4.5 কিমি/ সেকেন্ড।

6. বস্তু কনা 
👉 P তরঙ্গের প্রবাহ পথের সাথে বস্তুকনা সমান্তরাল অভিমুখে গমন করে।
👉 S তরঙ্গের ক্ষেত্রে বস্তু রাজি সমকোণে বা আড়াআড়ি ভাবে সরে যায়। 

7. তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 
👉 P তরঙ্গ সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হয়।
👉 S তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মাঝারি প্রকৃতির হয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.