উদবেধী ও নিঃসারী আগ্নেয়শিলার পার্থক্য

ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠ বা ভূপৃষ্ঠের নিচে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। উৎপত্তি অনুসারে এই আগ্নেয় শিলা কে দুভাগে ভাগ করা হয় - ক) উদবেধী আগ্নেয়শিলা ও খ) নিঃসারী আগ্নেয়শিলা। এখানে উদবেধী ও নিঃসারী আগ্নেয়শিলার পার্থক্য গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

1. সংজ্ঞা
👉 ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা ভূগর্ভের ভিতরেই ধীরে ধীরে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে শিলায় পরিণত হলে তাকে 
উদবেধী আগ্নেয়শিলা বলে।
👉 ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের কোন ফাটল বা ছিদ্রের মধ্যে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এসে শীতল ও জমাট বদ্ধ হয়ে যে শিলায় পরিণত হয়, তাকে নিঃসারী আগ্নেয়শিলা বলে। 

2. অবস্থান 
👉 উদবেধী আগ্নেয়শিলা ভূপৃষ্ঠের নিম্নে অবস্থান করে।
👉 নিঃসারী আগ্নেয়শিলা ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থান করে।

3. শিলা কণার প্রকৃতি
👉 ধীর গতিতে শীতল হয়ে জমাট বাঁধার ফলে উদবেধী আগ্নেয়শিলার দানা গুলি স্থূল বা বড়ো হয়।
👉 দ্রুত জমাট বাঁধার ফলে নিঃসারী আগ্নেয়শিলার কণা গুলি সূক্ষ্ম প্রকৃতির হয়।

4. সময়
👉 উদবেধী আগ্নেয়শিলা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে শীতল হয়।
👉 নিঃসারী আগ্নেয়শিলা ভূপৃষ্ঠের বাইরে থাকে বলে দ্রুত শীতল হয়ে জমাট বাঁধে। 

5. শ্রেণী বিভাগ
👉 উদবেধী আগ্নেয়শিলা দু ধরনের হয় - পাতালিক ও উপপাতালিক শিলা।
👉 উৎপত্তি অনুসারে নিঃসারী আগ্নেয়শিলা কে দু ভাগে ভাগ করা হয় - লাভা শিলা ও পাইরোক্লাস্টিক শিলা। 

6. রঙ
👉 উদবেধী আগ্নেয় শিলার রঙ হালকা হয়।
👉 নিঃসারী আগ্নেয়শিলার রঙ খুব গাঢ় হয়।

7. উদাহরণ
👉 উদবেধী আগ্নেয় শিলার উদাহরণ হল গ্রানাইট, গ্যাব্রো
👉 নিঃসারী আগ্নেয়শিলার উদাহরণ হল ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট প্রভৃতি।



কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.