ক্ষয়ের শেষ সীমা ও ক্ষয় সীমার ধনাত্মক ও ঋনাত্মক পরিবর্তন
ক্ষয়ের শেষ সীমা বলতে সাধারণত ভূপৃষ্ঠের উপর ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি গুলি ভূপৃষ্ঠকে কতদূর অবধি ক্ষয় করতে সক্ষম তাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ভূবিজ্ঞানী পাওয়েল প্রথম ক্ষয়ের শেষ
সীমার ধারণা টি দেন। সাধারণত সমুদ্র পৃষ্টকে সকল
ক্ষয় চক্রের শেষ সীমা ধরা হয়। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় কোন জলাভূমিকে ক্ষয়
কার্যের শেষ সীমা হিসাবে ধরা হয়। যেমন – মরু অঞ্চলে ক্ষয়কার্যের শেষ সীমা হল
প্লায়া হ্রদ বা ভৌমজল পৃষ্ট।
ক্ষয়ের শেষসীমার ধারণাটি প্রথম উইলিয়াম মরিস ডেভিস
তার স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ধারনায় প্রয়োগ করেন । নদী মঞ্চ, বদ্বীপ ও অন্যান্য সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠনে
ক্ষয়সীমা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।পাতসংস্থানিক কার্যাবলি, সমুদ্র পৃষ্টের উত্থান ও পতন
ক্ষয়ের শেষ সীমার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
ক্ষয়ের শেষ সীমার পরিবর্তনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা - ধনাত্মক ও ঋনাত্মক পরিবর্তন
১. ক্ষয়সীমার ধনাত্মক পরিবর্তন
– সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত কারণে ক্ষয়ের শেষসীমার
ধনাত্মক পরিবর্তন ঘটে থাকে । কারণ সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে ক্ষয়ের শেষ সীমা ও ভূপৃষ্ঠের মধ্যবর্তী ব্যবধান কমে যায়, তখন নদী দ্রুত ক্ষয়কাজ সম্পূর্ন করতে সক্ষম হয়। প্রধানত হিমবাহের গলন ও ভূ-আন্দোলনজনিত কারণে সমুদ্র তলের উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটলে এই
ধরণের পরবর্তন ঘটে থাকে। ধনাত্মক পরিবর্তনের ফলে রিয়া ও ফিয়র্ড উপকূল, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়।
২. ক্ষয়সীমার ঋনাত্মক পরিবর্তন
– কোন কারণবশত সমুদ্রতলের উচ্চতা হ্রাস পেলে ভূমিরূপ ও সমুদ্রতলের
মধ্যে উচ্চতা বা গভীরতা বৃদ্ধি পায়। ক্ষয়ের শেষ সীমা থেকে ভূমিরূপের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে নদী আবার তার নিম্নক্ষয় করার
ক্ষমতা ফিরে পায় অর্থাৎ নদী আবার যৌবন অবস্থায় ফিরে আসে। একে ক্ষয়সীমার ঋনাত্মক পরিবর্তন
বলে। সমুদ্রতলের অবনমন ঘটলে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ঋনাত্মক পরিবর্তনের ফলে নদীমঞ্চ, কর্তিত নদীবাক, নিক পয়েন্ট ও উপত্যকার মধ্যে উপত্যকা প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়।
শেষ খয়সীমা কি সমুদ্রতল
উত্তরমুছুন