মহীসোপান অঞ্চল গুলি মৎস্য চাষে উন্নত কেন


উপকূল থেকে স্থলভাগের অংশ ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে নেমে যায় সমুদ্রের চেয়েও গভীর অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপান অঞ্চল গুলির জলের গভীরতা 200 মিটার পর্যন্ত হয়। মহীসোপান অঞ্চলগুলির জলের গভীরতা কম থাকায় সামুদ্রিক মৎস্য চাষে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। মহীসোপান অঞ্চলগুলির মৎস্য চাষে উন্নতি লাভের কারণগুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

1) প্ল্যাংটনের প্রাচুর্য - মহীসোপান অঞ্চলে জলের গভীরতা 200 মিটার পর্যন্ত হয় বলে মহীসোপান অঞ্চলে সহজে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে। তাই এখানে মাছের খাদ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী প্ল্যাংটন ভালোভাবে বংশবিস্তার করতে পারে। যার ফলে এ অঞ্চলে প্রচুর মাছের সমাবেশ ঘটে।

2) মাছের খাদ্য - মহীসোপান অঞ্চলগুলিতে স্থলভাগ বিধৌত নানাপ্রকার জৈব পদার্থ নদী দ্বারা বাহিত হয়ে মহীসোপান অঞ্চলে সঞ্চিত হয়। যা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে মাছের খাদ্যের অভাব হয় না।

3) উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন - নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে র মহীসোপান অঞ্চলে উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনের ফলে শীতল স্রোতের সঙ্গে বাহিত হিমশৈল গলে গিয়ে হিমশৈল ও বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি জমে মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়। এই অগভীর মগ্নচড়া অঞ্চল সামুদ্রিক মাছের বসবাসের পক্ষে আদর্শ। আর এই মগ্নচড়া গুলিকে কেন্দ্র করেই মৎস্য ক্ষেত্র গুলি করে ওঠে ।

4) মাছের বংশ বৃদ্ধি করার পক্ষে আদর্শ - মহীসোপান অঞ্চলে জলের উষ্ণতা ও গভীরতা মাছের ডিম পাড়ার পক্ষে আদর্শ। তাই এখানে মাছের বংশ বিস্তার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘটে।

5) মাছ শিকারের সুবিধা - মহীসোপান গুলির গভীরতা কম হওয়ায় মাছ ধরার আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে একসঙ্গে প্রচুর মাছ শিকার শিকার করা যায়। এছাড়া এখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায় তাই একবার জাল ফেলে প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরার সুযোগ পাওয়া যায়।

উপরোক্ত কারণ গুলির জন্য পৃথিবীর বেশির ভাগ মৎস্য  ক্ষেত্র গুলি মহীসোপান অঞ্চলে অবস্থিত। 

কোন মন্তব্য নেই:

Deejpilot থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.